বিভিন্ন জ্বরের লক্ষন ও এর প্রতিকার সূমহ (২০২১) পাঠ ১-Health Tips in Bangla-2021,ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ,সর্দি জ্বর ,মাথা ব্যাথা,ডেঙ্গু জ্বরের,চিকিৎসা,
সর্দি জ্বর খুবই কমন ও পরিচিত একটি অসুখ বছরের যে কোনো সময় এ অসুখে আক্রান্ত হতে পারে যে কেউ। এমন কেউ নেই যে বলতে পারবে তার কখনো সর্দি জ্বর হয় নি। একটি ফ্যামিলি বা পরিবারের একজন জনকে যদি হয় তাহলে বাকি রাও আক্রান্ত হতে পারে। এটা সর্দি বা ক্যাটারাল ভাইরাস বা এক প্রকার জীবানু নামে পরিচিত।
![]() |
বিভিন্ন জ্বরের লক্ষন ও এর প্রতিকার-trophybd |
{tocify} $title={Table of Contents}
সর্দিজ্বরে আক্রান্ত হওয়া ব্যক্তির হাঁচি ও কাশি ও নাক দিয়ে পানি ঝরতে থাকবে। আরো অনেক লক্ষন দেখা দিবে যেমন গায়ে ব্যাথা, সামান্য শীতবোধ,দেহের উত্তাপ,মানসিক অস্থির অনুভব করা,কাশি,নাকে রক্ত সঞ্চয়,গলায় ঘা,চোখ ও নাক লাল দেখা যায় ও মাথায় ব্যাথা হয়।
অনেক কারনে হতে পারে যেমন এলারজির জন্য ও সর্দিজ্বর হতে পারে । সর্দিজ্বরে আক্রান্ত মানুষের আশেপাশে থাকলে বা আবহওয়া পরিবর্তনের সাথে সাথে এই রোগ হতে পারে। তবে এটা কোনো মহামারী আকারে হবে না। বৃষ্টির পানিতে ভেজা,ফ্রিজের ঠান্ডা পানি বা অতিরিক্ত ঠান্ডা কিছু খাওয়া থেকে এই এই রোগ হতে পারে।
সর্দি জ্বরের লক্ষনঃ
১। নাক দিয়ে প্রচুর পানি পড়ে ।
২। প্রথমে হঠাৎ করে নাকে জ্বালা ও হাঁচি শুরু হয় ।
৩। গায়ে সামান্য তাপ থাকে ।
৪। মাথা ব্যাথা ও ভার অনুভব হয় ।
৫। গায়ের তাপ বাড়ে এটা হাত দিলে বুঝা যাবে এবং এটা দীর্ঘ সময় পর্যন্ত থাকবে।
৬। পুরো মাথা,কপাল এবং কানে বাথ্যা হতে দেখা যাবে।
৭। ঘন হলুদ সর্দি বের হতে পারে এবং এজন্য শ্বাস কষ্ট হবে।
কিছু প্রতিরোধ মূলক ব্যবস্থা
১। ঠাণ্ডা থেকে দূরে থাকতে হবে সেটা খাবার হতে ও হতে পারে বা ঠান্ডা আবহাওয়া হতে পারে।
২। ধুলাবালির জায়গা এড়িয়ে চলতে হবে। এটা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর প্রয়োজনে নাকে রুমাল ব্যবহার করুন।
৩। বিশ্রাম নিতে হবে। এটা শরীরের জন্য খুবই দরকার।
৪। মৌসুমি ফল বা সিজিনের খাওয়া ভাল । যেমর আম জাম,কাঁঠাল ইত্যাদি।
এ রোগ বা অসুখের কিছু চিকিৎসা
১। মাথা ব্যাথা,গায়ে ব্যাথা ও জ্বরের জন্য শিশুদের ক্ষেত্রে নাপা-Napa বা ফাস্ট-Fast বা এস ওয় দিতে হবে
২। বড়দের জন্য নাপা-Napa ট্যাবলেট বা ace ট্যাবরেট ও fast ট্যাবলেট দিতে পারেন।
এই অসুধ গুলো ঠান্ডা বা সর্দি জ্বরের জন্য ব্যবহার করতে পারেন। তবে খুব বেশি খারাপ অনুভব করলে অবশ্যই নিকটস্থ ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহন করুন।
ডেঙ্গু জ্বর
![]() |
ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষন ও এর প্রতিকার-Trophybd |
ডেঙ্গু জ্বর একটা ভাইরাস জনিত রোগ। যা হয়ে থাকে মশার কামড় থেকে। । এটা বিশেষ করে গ্রাম ও বাড়ির আশেপাশে জঙ্গল বা বদ্ধ জরাশয় থেকে হয়ে থাকে। কারন জঙ্গর বা বদ্ধ জলাশয়ে মশার জন্ম বিস্তার হয়। ফলে একটা মশা থেকে হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ মশার জন্ম হয়। এই রোগ সারা বছর হতে পারে তবে মূলত বর্ষা কালে এর প্রভাব বেড়ে যায়। একজনের থেকে অন্য ব্যক্তির মাঝে এই রোগ ছড়ায় না। ডেঙ্গু জ্বর সাধারনত মেয়ে এডিস মশার কামুড়ে ছড়ায়। Aedes aegypti,Aedes albopictus।
ডেঙ্গু মশার পরিচয়
ডেঙ্গু মশা বা মেয়ে এডিস মশা এরা আকারে একটু বড় হয় ও এদের গায়ে ডোরা কাঁটা দাগ থাকে। ডেঙ্গু মশার কামড় এতোটা ভংয়মকর হতে পারে যে
অনেক সময় মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষন সমুহঃ
• উচ্চ তাপমাত্রা দেখা যাবে ৩-৭দিন
• প্রচণ্ড মাথা ব্যাথা দেখা দিবে
• চোখের পিছনে ব্যাথা অনুভব হবে
• সারা শরীরের মাংসে এবং গিঁটে গিঁটে ব্যাথা সৃষ্টি হবে যা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকবে।
এর আরো কিছু লক্ষন আছে যেমন চামড়ার নিচে ছোট ছোট লাল ফুসকুড়ি (rash) হবে। জ্বরের দ্বিতীয় দিন দেখা দিবে অথবা জ্বর কমে যাওয়ার (৪-৭দিন)পর।দাঁতের গোঁড়া থেকে ও নাক থেকে রক্ত বের হতে পারে।
এই সমস্ত লক্ষণ দেখা দিলেও কিছু মানুষ অল্প কিছু দিনের মধ্যে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যেতে পারে। এই সময় বুকে এবং পেটে পানি জমতে পারে। যার ফলে রক্ত নালিতে fluid এর পরিমান কমে যাবে এবং শরীরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গপ্রত্যঙ্গে রক্তের সরবরাহ কমে যাবে। এই সমস্ত লক্ষন দেখা দিলে রোগিকে অবশ্যই হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে।
ডেঙ্গু জ্বরের সতর্ক বার্তা
প্রচণ্ড পেটে ব্যাথা হওয়া,বমি হওয়া,রক্তপাত হওয়া শরীরের বিভিন্ন অংশ থেকে, প্রস্রাব অল্প পরিমানে হওয়া,অতরিক্ত দুর্বলতা অনুভব করা,শ্বাসকষ্ট কষ্ট অনুভব করা। এই সময় সারা শরীরে চুলকানি হতে পারে।
ডেঙ্গু রোগের কিছু চিকিৎসা সমূহ
ডেঙ্গু জ্বরের নির্দিষ্ট কোন চিকিৎসা নেই।রোগের লক্ষন অনুযায়ী চিকিৎসা করতে গ্রহন করতে হবে। জ্বরের জন্য paracitamol ৬ঘণ্টা পরপর দিতে হবে, পানি শূন্যতা প্রতিরোধ এর জন্য প্রচুর সালাইন,ডাবের পানি,জুস দিতে হবে। বাচ্চা এবং বয়স্কদের তাড়াতাড়ি হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে কারন তাদের শারীরিক অবস্থা তাড়াতাড়ি খারাপ হয়ে যায়।
ডেঙ্গু মশা প্রতিরোধে করোনীয়
ডেঙ্গু মশা প্রতিরোধে আপনার করোনীয় হচ্ছে বসত বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা। বদ্ধ জলাশয় নিয়মিত পরিষ্কার করা,ভঙ্গা হাড়ি,ডাবের খোসা ও টায়ার জাতীয় জিনিসে পানি জমতে না দেয়া। প্রয়োজনে কীটনাশক প্রয়োগ করা এবং রাদে ঘুমাতে যাওয়ার আগে অবশ্যই মশারী ফেলে ঘুমা।
আরো পড়ুন
আজীবন সুস্থ থাকার সেরা ৮ টি উপায় ২০২১
COMMENTS