আজীবন সুস্থ থাকার সেরা ৮ টি উপায় ২০২১,সুস্থ থাকার সহজ উপায়,সুস্থ থাকার টিপস,সারা জীবন সুস্থ থাকার উপায়,মানসিকভাবে সুস্থ থাকার উপায়,শরীর সুস্থ রাখার
আজীবন সুস্থ থাকার, সেরা ৮ টি উপায় ,,মানুষের শরীর টা অনেক টা যন্ত্রর মতো। উদাহরণ সরূপ বলা একটি মোবাইলের কথা যেমন ধরুন একটি মোবাইল ততোক্ষণই আপনাকে সার্ভিস দিবে যতক্ষণ তার ব্যাটারীতে চার্জ থাকবে। তারপর এর ব্যাকআপ দেয়া বন্ধ হয়ে যাবে। ঠিক এ রকম মানুষের শরীর।
আজীবন সুস্থ থাকার সেরা ৮ টি উপায় ২০২১-Trophybd |
আপনার যতক্ষণ শরীরে সঠিক ভাবে পরিচর্যা থাকবে ততোক্ষণ আপনি সুস্থ থাকবেন। তাই সুস্থ থাকার জন্য আপনাকে কিছু পন্থা অবলম্বন করতে যা নিয়মিত করলে আপনি শারীরিক ভাবে ফিট থাকবেন। আর একটি মানুষের সুন্দর জীবন ধারনের জন্য ও সুস্থ থাকা জরুরি।
আর সুস্থ ও স্বাভাবিক থাকা কোনো কঠিন কাজ না শুধু কিছু অভ্যাস তৈরী করতে হবে যেমন সঠিক খাদ্য গ্রহন করা,ফিট থাকার জন্য হালকা কিছু ব্যায়াম করা, পানি পান করা, সঠিক পরিমানে ঘুমানো,পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা আরো অনেক কিছু। চলুন বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা যাক
সঠিক খাদ্য গ্রহন করা
খাদ্য হচ্ছে আমাদের জন্য ব্যাটারী যেমন মোবাইল ব্যাটারী ছাড়া অচল তেমন মানুষ খাদ্য ছাড়া অচল বেঁচে থাকার জন্য অবশ্যই আপনাকে খাদ্য গ্রহন করতে হবে। খাদ্য আমাদের শরীরের সঠিক এনার্জির জোগান দেয়। তাই বলা যায় যে খাদ্য হচ্ছে আমাদের শরীরের শক্তির প্রধান উৎস হচ্ছে খাদ্য। তাই খাদ্য গ্রহন করা দরকার তবে শুধু পেট ভরার জন্য খেলেই হবে না।
এমন খাদ্য আপনাকে গ্রহন করতে যেটা আপনার শরীরের আমিষের চাহিদা ও ঘাটতি পুরন করবে। প্রোটিন ও ভিটামিন জাতীয় খাবার গ্রহন করতে হবে যতটা পরিমানে সম্ভব। এমন কিছু খাবার আছে যে গুলো আপনার শরীরের ক্ষয় পুরন করবে ও ভিটামিনের যোগান দিবে।
যেমন-বাদাম,তিল,মাশরুম,সিম,ডাল কাঁঠাল এগুলো শরীরে প্রোটিনের যোগান দিবে। এবং শরীরে ফ্যাট বা চর্বি চাহিদা পুরনের জন্য মাছ,মাংস,ঘি,ছানা,দুধ,ডিম এগুলো গ্রহন করতে হবে।
আরো কিছু খাদ্য যেগুলো শরীবের কার্বোহাইড্রেট বা কাজ করার জন্য শক্তি উৎপন্ন করে এবং ভিটামিনের অভাব পুরন করে যেমন আলু,গম,ভুট্টা,আখ,মধু,আপেল মসুর ডিম কার্বোহাইড্রেট এর যোগান দিবে। এবং আম,জাম,কলা,গাজর,সবুজ শাক সবজি,সয়াবিন,লেবু এগুলো থেকে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন পেয়ে যাবেন।
সঠিক পরিমানে ঘুমানো
শারীরিক ভাবে সুস্থ থাকতে হলে আপনকে অবশ্যই নিদিষ্ট পরিমানে ঘুমানো দরকার। ভালো ঘুম না হলে প্রচুর সমস্যা সম্মুখীন হতে পারেন। যেমন সঠিক ঘুম না হলে শরীরে অলস ভাব চলে আসে। কাজে মন বসবে না ও এর সাইট ইফেক্ট হিসেবে চুল পড়া ও আরম্ভ হতে পারে।
চোখের নিচে কালো দাগ পড়তে পারে। একজন মানুষের প্রায় ৬ ঘন্টা ঘুমানো চটিত। সঠিক ঘুম পারে আপনার শরীরকে চাঙ্গা রাখতে। আর কিছু পরীক্ষার মাধ্যম জানা গেছে যে মানুষের ঘুম মানুষের হাজারো রোগ প্রতিরোধ করে থাকে।
পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা
হ্যাঁ অবশ্যই সুস্থ ও স্বাভাবিক ভাবে থাকতে হলে সুষম খাদ্য ও পাশাপাশি পরিষ্কার থাকা জরুরি। যেমন পরিষ্কার কাপড় পরিধান করা,নিয়মিত গোসল করা,খাবার আগে হাত ধৌত করা, সহ আরো অনেক কিছু। কারন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ব্যক্তির শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি থাকে।
হালকা কিছু ব্যায়াম করা
সুস্থ থাকার জন্য ব্যায়াম একটা খুবই একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তবে ব্যায়াম করা বলতে আমরা হাটা বা দৌঁড়ানো কে বুঝি। কিন্তু তা নয় শুধু হাটলে বা দৌড় করে ব্যায়াম করা হবে এটা ঠিক নয়। তবে যদি কেউ পারেন তাহলে খুবই ভালো।
কারন হাটলে বা দৌড়ালে শরীর ফিট থাকে এবং ডায়বেটিস সহ নানা ধরনের অসুখ থেকে মুক্তি পাবেন। আর যারা হাটা হাটি বা দৌড়ানো বা অন্য কোনো ব্যায়াম করতে পারেন বা করার সময় হয় না তারা বাড়িতে হলে বাড়ির কাজ গুলো করুন যেমন নিজের বিছানা নিজে করা।
কাপড় পরিষ্কার করা ও গুছানো এ ধরনেন কাজ গুলো করুন। অফিসের কজের মধ্য থাকলে কাজরে ফাঁকে ফাঁকে একটু হাটুর যেমন কোনো কাগজ বা ফাইলের দরকার হলে সেটা নিজে গিয়ে নেয়ার চেষ্টা করুন। মোট কথা এক জায়গায় দীর্ঘ সময় বসে থাকবেন না। দীর্ঘ সময় বসে থাকার ফলে আপনার শরীরের অবস হতে থাকে এবং রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা হারায়।
শরীরের যন্ত নেয়া
শরীর ঠিক থাকলে মন চাঙ্গা থাকবে আর কাজ করেও মজা পাবেন। তাই শরীরের যন্ত নেয়া আবশ্যক। যত্নের জন্য আপনাকে নিয়মিত গোসল করতে হবে,দুই হাত পরিষ্কার রাখা যেমন কোনো কিছু ধরা পর হাত ধুয়া,সকালে ঘুম থেকে উঠে দাঁত ব্রাশ করা ও ঘুমাতে যাওয়ার আগে একবার দাঁত ব্রাশ করা,ঠান্ডা পানি দিয়ে চোখ পরিষ্কার করা,নিয়মিত হাতে পায়ের নখ কাঁটা এ অভ্যাস করুন।
মানসিক চিন্তা দূর করা
আমরা বিভিন্ন কারন বসত নানা রকম দূরচিন্তা করে থাকি যেটা একে বারে ঠিক নয়। মানসিক চিন্তা ভাবনা এমন এক বিষয় যা আপনার মনোবল নষ্ট করে দেয় এবং আপনার ভেতরে নানা ভয়াবহ অসুখের সৃষ্টি করে। তাই যখন আপনার মাথায় কোনো চিন্তা বিরাজ করবে তখন আপনি অন্য কোনো কাজে মনস্থির করুন এতে আপনার চিন্তা থেকে মুক্তি পাবেন। কোনো সময় চিন্তা ভাবনা বেশি প্রধান্য দিবেন না এতে আপনার ভবিষ্যৎ অন্ধকার।
সু অভ্যাস নির্বাচন করা
আমাদের সাস্থের জন্য যে গুলো ক্ষতিকর সে বর্জন করা একান্ত জরুরি। উপাহরন সরূপ বলা যায় ধরুন আপনি জানেন যে আগুনে হাত দিতে আপনার হাত পুড়ে যাবে তাও আপনি হাত দিলেন এতে অবশ্যই আপনার হাত পুড়ে যাবে এরকম আপনার স্বাস্থের ক্ষেত্রে ও হবে।
যেমন ধুমপান করা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতি কর তাও আপনি ধুমপান করেন তাহলে অবশ্যই আপনার স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব পড়বে। তাই সঠিক অভ্যাস নির্বাচন করা প্রয়োজন। যে কাজ গুলো আপনি নির্বাচন করতে পারেন ছবি আঁকা,গান শোনা,খেলাধুলা করা, রাতে তাড়া ঘুমানো ও সকালে ঘুম থেকে ওঠা।
নিজেকে বিনোদন করা
বিষয় টা একটু অন্য রকম মনে হচ্ছে না কিন্তু এইটাই চরম সত্যি যে কাজে আপনি নিজে বিনোদিত হবে সেটা পারে অন্য বিনোদন দিতে। মানুষের জীবন যেমন সুখ চিরস্থায়ী নয় তেমন দুঃখ ও নয়। সুখ ও দুঃখ দুইটা মিলিয়ে জীবন। তাই দুঃখের সময় ভেঙ্গে পড়বেন না এতে আপনার শারীরিক ও মানসিক দুই ভাবে ক্ষতি হবে।
তাই সবার আগে নিজেকে বিনোদন দিন। নিজেকে বিনোদিত করার জন্য বিভিন্ন ধরনের গান শুনতে পারেন,মুভি দেখতে পারেন,বেড়াতে পছন্দ করলে সেটা করতে পারেন,বই পড়তে পাবেন এতে আপনার মেধা শক্তি বিকাশ পাবে ও মন সতেজ থাকবে।
সুন্দর ও রোগ মুক্ত জীবন সবার কার্ম তাই উপরের যে সমস্ত বিষয় গুলো তুলে ধরা হলো সে গুলো অনুসরন করা এতে সুস্থ ও সুন্দর জীবন গঠন করতে পারবেন।
আরো পড়ুন
COMMENTS